প্রাথমিক শিক্ষায় ভাল ফলাফলে আবাসিক ব্যাবস্থা
প্রাথমিক শিক্ষায় ভাল ফলাফলে আবাসিক ব্যাবস্থার ভূমিকাঃ
প্রথমেই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বর্তমান সরকারের প্রতি এই জন্য
যে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছু বৈপ্লবিক
পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নয়ন বা সাফল্যের কারণে।তবে, এখনও অনেক পরিবর্তন
প্রয়োজন যা আমি একজন প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে বা মাঠ পর্যায়ের একজন কর্মচারি
হিসাবে বলতে পারি এবং তা বাস্তবতা।
কোন কাজ শুরু করার পূর্বে একটি লক্ষ নির্ধারণ করতে হয় এবং সে লক্ষকে বাস্তবায়নের জন্য কিছু কর্ম পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়।একটি কাজ শুরু করার পূর্বে পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনার মাধ্যমে তা সফলতার মুখ দেখে।
আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রেও একটি লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সে লক্ষে কর্মপরিকল্পনাও ঠিক করা আছে।
যেহেতু শিক্ষা ব্যাবস্থা চলমান ও পরিবর্তনশীল।ইতোপূর্বে যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে সেই সময়ের উপর ভিত্তি করে।আমি বলছি না যে প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ বাস্তবায়নে যে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে তা একেবারেই ভিত্তিহিন বা অপ্রয়োজনীয় তবে কিছুটা সংযোজন করা প্রয়োজন সময়ের প্রেক্ষাপটে।
বর্তমান সরকার শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং অবকাঠামোতে প্রতি অর্থ বছরে কোটি কোটি
টাকা ব্যয় করছে।বাস্তবায় আমি হলফ করে বলতে পারি সেই অর্থের ৫০% কাজে লাগে
বাকি ৫০% অপচয় হয়।আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় পি,ই,সি,তে প্রতি বছর প্রায় ১০০%
পাশ করিয়ে গর্ববোধ করি না বরং লজ্জায় পড়ি,কখন লজ্জায় পড়ি যখন সেই
শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।তবে সবাই যে লজ্জায় ফেলে তা
কিন্তু না।এমন কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা প্রাথমিক শিক্ষার গর্ব।আমি উপরোক্ত
কয়েকটি লাইনে কি বুঝাতে চেয়েছি নিশ্চয় আপনার বুঝতে পেরছেন।এ থেকে উত্তোরনে
বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের নিকট আমি একজন প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে একটি
সুস্পষ্ট প্রস্তাব বা নিবেদন করছি।
আমার প্রস্তাব/নিবেদনঃ
বর্তমান সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা স্লীপ বরাদ্দ দিয়ে থাকে প্রতি বছর এবং তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।সত্যি কথা বলতে গেলে যার ৫০% অর্থও সঠিক ব্যয় হয় না।
আবার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য বা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করার জন্যই মূলতঃ প্রতি মাস ১০০ টাকা হারে উপবৃত্তি প্রদান করে সরকার যা সাধারণতঃ তিন মাস অন্তর শিক্ষার্থীরা হাতে পায়।বাস্তবতা আমি হলফ করে বলতে যে উদ্দেশ্যে সরকার এই উপবৃত্তি প্রদান করে তার ১% অর্থও সে উদ্দ্যশ্য ব্যয় করেন অভিভাবকগণ।
বর্তমান সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা স্লীপ বরাদ্দ দিয়ে থাকে প্রতি বছর এবং তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।সত্যি কথা বলতে গেলে যার ৫০% অর্থও সঠিক ব্যয় হয় না।
আবার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য বা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করার জন্যই মূলতঃ প্রতি মাস ১০০ টাকা হারে উপবৃত্তি প্রদান করে সরকার যা সাধারণতঃ তিন মাস অন্তর শিক্ষার্থীরা হাতে পায়।বাস্তবতা আমি হলফ করে বলতে যে উদ্দেশ্যে সরকার এই উপবৃত্তি প্রদান করে তার ১% অর্থও সে উদ্দ্যশ্য ব্যয় করেন অভিভাবকগণ।
আবার সরকার প্রতি অর্থ বছরে বিদ্যালয় মেরামত বাবদ কোটি কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বরাদ্দ দিয়ে থাকে। মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কত % সঠিকভাবে ব্যয় হয় তা মোটামুটি সবারই কমবেশি জানা আছে।এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্যও অনেক অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে সরকার।সত্যি কথা এমনও বিদ্যালয়ে আছে যেখানে ভবনের প্রয়োজন তো দূরের কথা যা তাও অব্যবহৃত থাকে শিক্ষার্থী অভাবে,তবে সে সংখ্যা খুবই কম।
উপরোক্ত প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের বরাদ্দ যেমন,শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ব্যাবস্থা সম্পূৃণ বাতিল করে, মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ কম করে এবং অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ না করে যদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথমে পঞ্চম শ্রেণি এবং পর্যায়ক্রমে প্রথম শেণি পর্যন্ত আবাসিক ব্যাবস্থা চালু করে উপরোক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ শিক্ষকদের অতিরিক্ত কর্মের সন্মানী (ওভার ডিউটির জন্য সন্মানী)ভাতা প্রদান করা যায় তাহলে নিসন্দেহে আমি বলতে সরকারের যে মহৎ উদ্দেশ্য শতভাগ সফল হবে এবং অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে।তবে একসঙ্গে সারা কাংলাদেশে আমার প্রস্তবনা চালু না করে প্রথমে একটি ইউনিয়নে সব বিদ্যালয়ে পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করলেই সরকার বিষয়টির সুফল পাবে এবং উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এক ধাপ এগিয়ে যাবে, আমার বিশ্বাস।কারণ একজন শিক্ষার্থী যখন ২৪ ঘন্টা শিক্ষকের তত্তাবধানে থাকবে সে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে থাকবে এবং সমাজের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়ানোর কোন সুযোগ পাবে না।
আবাসিক বিষয়ে ছোট্ট একটি দিচ্ছি আমার নিজ বিদ্যালয় ১২নং গোপালপুর সপ্রাবি এ
ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর প্রতি বছর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বছরের
শেষের ৬ মাস আমরা আবাসিকে রেখে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করাই।তাতে দেখা
যায় যে শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার কথা সে শিক্ষার্থীও খুব ভাল ফলাফল
করে।২০১২খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন মাননীয় জেলা প্রশাসক,দিনাজপুর ও মাননীয়
ভিভাগীয় কমিশণার, রংপুর মহোদয়গণ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে আবাসিক ব্যাবস্থার
খুব প্রশংসা করেছিলেন এবং ব্যাবস্থাটি যেন চালু থাকে তার নির্দেশণা
দিয়েছিলেন।
বড় একটি উদাহরণ দিচ্ছি বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাল মানের বিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের অজোপাড়া গ্রামে অবস্থিত "শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়"এ ভাল ফলাফলের পিছনে সবচেয়ে যে বিষয়টি বেশি ভূমিকা রেখে চলেছে তা হ'ল "আবাসিক ব্যাবস্থা"।
সুতরাং সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে
আমার উপরোক্ত প্রস্তাবিত/নিবেদনকৃত বিষয় "প্রাথমিক শিক্ষায় ভাল ফলাফলে
আবাসিক ব্যাবস্থার ভূমিকা" সদয় দৃষ্টিতে নিয়ে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত
গ্রহনের জন্য বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার তথা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী
জনাব,মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মহোদয় ও সরকার প্রাধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জনাব, শেখ হাসিনা ওয়াজেদ মহোদয়ের নিকট
সবিনয়ে নিবেদন রাখছি।
বিনীত
মোঃ ফারুক হোসেন
মোঃ ফারুক হোসেন
সহকারি শিক্ষক
১২নং গোপালপুর সপ্রাবি
ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।
১২নং গোপালপুর সপ্রাবি
ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।

Leave a Comment