"প্রাথমিক বৃত্তি" পৌরসভায় ওয়ার্ড কোটা আছে অথচ ইউ,পি'র ওয়ার্ড কোটা নেই
"প্রাথমিক বৃত্তি"পৌরসভায়"ওয়ার্ড কোটা আছে,অথচ ইউ,পি'র ওয়ার্ড কোটা নেইঃ
বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে "একীভূত শিক্ষা ব্যাবস্থা"চালু করেছে।নিঃসন্দেহে এক বাক্যেই সবাইকে স্বীকার করতে হবে এটি একটি বাস্সতবসম্মত ও সময়োপযোগী,যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।সেদিক থেকে বর্তমান সরকারকে একজন প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্য হিসাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।একটি সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবচেয়ে যাঁদের ভূমিকা বেশি,তাঁরা হলেন প্রজাতন্ত্রের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীবৃন্দ,একাথা অস্বীকার করারও কোন উপায় নেই।
তদ্রুপ প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে "একীভূত শিক্ষা ব্যাবস্থা"বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।যেহেতু "প্রাথমিক বৃত্তি" প্রাথমিক শিক্ষারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ সে কারণেই "একীভূত শিক্ষার" সঙ্গে প্রাথমিক বৃত্তি ব্যাবস্থা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।বাস্তবতায় এই শিক্ষা ব্যাবস্থায় সবচেয়ে কিছু কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।যেমনঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেজি দু'ধরণের শিক্ষা ব্যাবস্থা চলমান যা মোটামুটি কমবেশি সবায় জ্ঞাত।এ তো প্রাথমিকের সঙ্গে অন্য সমমানের বিদ্যালয়ের কথা।
ক্ষোদ প্রাথমিক শিক্ষায় শহর ও গ্রামেও কিছুটা পার্থক্য দৃশ্যমান।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ণে উৎসাহিত করা এবং সেই সব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা বা আনুসাঙ্গিক প্রয়োজন মেটাতে পিইসিতে "প্রাথমিক বৃত্তি"প্রদান করে সরকার।অবশ্যই এটি একটি মহতী উদ্যোগ।এই বৃত্তি পদানে একটি বড় ধরণের সমস্যা বাস্তবে দৃশ্যমান যা খুব সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্ঠা করছিঃ
প্রাথমিক বৃত্তি কোটা ইউ,পিতে এক ধরণের বৃত্তি কোটা আবার পৌরসভায় আর এক ধরণের বৃত্তি কোটা চলমান।পৌরসভায় "ওয়ার্ড কোটায়"বৃত্তি প্রদান করা হয় পক্ষান্তরে ইউনিয়নে কোন ওয়ার্ড কোটায় বৃত্তি প্রদান করা হয় না।পুরো ইউনিয়নে বৃত্তি কোটা চলমান।সেক্ষেত্রে সবচেয়ে যে সমস্যাটি হয় তা হ'ল পৌরসভার একটি ওয়ার্ডে বৃত্তিপ্রাপ্তির কাঙ্খিত নম্বর কোন শিক্ষার্থী না পেলে অন্য ওয়ার্ড থেকে তা পূরণ করা হয়।দেখা যায় সেক্ষেত্রে সাধারণতঃ ৬০+ থেকে ৮০+ নম্বর পেলেই একটি ওয়ার্ডের কোটা অন্য ওয়ার্ড থেকে পূর্ণ করা হয়,পক্ষান্তরে একটি ইনিয়নের ক্ষেত্রে যা হয় তা অনেক শিক্ষার্থীই ৮০+ থেকে ৯০+ নম্বর পেয়েও বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়,কারণ ইউনিয়নে ওয়ার্ড কোটা ব্যাবস্থা নেই,বাস্তবতার আলোকেই বিষয়টি অনুধাবন করছি প্রতি বছর।এক্ষেত্রে কি একটু হলেও ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে না এবং প্রাথমিকে "একীভূত শিক্ষা ব্যাবস্থা'র" ব্যত্যয় ঘটছে না? আমার সঙ্গে সবাই একমত হবেন তা বলবো না,আর একটি বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করবেন এমনটি ভাবাও ঠিক না, তবে আমার আলোচিত বিষয়টি নিয়ে একটু গভীরে চিন্তা-ভাবনা করলে সমস্যাটি যে প্রাথমিকেএকীভূত শিক্ষা ব্যাবস্থার অন্তরায় তা অন্ততঃ সবাই উপলব্ধি করতে পারবেন।প্রয়োজনে পুরো ইউনিয়ন কোটার পরিবর্তে বৃত্তির সংখ্যা একটু বাড়িয়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক কোটা পদ্ধতি চালু করলে উপরোক্ত সমস্যার একটি ইতিবাচক সমাধান হতে পারে,আমার ব্যক্তিগত ধারণামতে।
সুতরাং প্রাথমিকে "একীভূত শিক্ষা ব্যাবস্থা" শতভাগ বাস্তবায়নে, প্রাথমিকে বৃত্তি প্রদান ব্যাবস্থায় পৌরসভার ন্যায় ইউনিয়নেও ওয়ার্ড কোটা চালু করতে বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের সরকার প্রধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়,সচিব মহোদয়,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাননীয় মহাপরিচলক মহোদয়সহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকল উর্ধতন কর্মকর্তা মহোদয়গণের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
[আমার আজকের লেখায় আমাকে যিনি সার্বিক নির্দেশণা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন,তিনি আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব,মোঃ মমিনুল ইসলাম সরকার মহোদয়।আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি]
বিনীত
মোঃ ফারুক হোসেন
সহকারি শিক্ষক
১২নং গোপালপুর সপ্রাবি,ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।

Leave a Comment